অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে কী করবেন?

অফিস বা বাসায় কিংবা প্রকাশ্য স্থানে আমাদের কখনো কখনো অকওয়ার্ড বা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। এ অবস্থায় স্মার্ট বা চৌকশ না হলে পরিস্থিতি আরো খারাপ রূপ নিতে পারে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে করণীয় কী তা নিয়েই নিচে অালোচনা করা হলো :

স্বাভাবিক ঘটনা:
জরুরি সভায় আকস্মিকভাবে রেগে গেলেন কিংবা আপনার কথায় কেউ ওয়াক আউট করল। এরপর সভায় পিনপতন নিস্তব্ধতা। এ সময় হতবুদ্ধি না হয়ে ঘটনার গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করুন। এমনও হতে পারে, ঘটনার পেছনে যে সমস্যা দায়ী তা আরো বেশি অস্বস্তিকর। আবার আপনার পক্ষ থেকে এসব ঘটনা ক্রমাগত ঘটতে থাকলে সাবধান হয়ে যান। ভুল চিহ্নিত করে শুধরে নিন নিজেকে।

পর্যবেক্ষণ করুন:
এমন পরিস্থিতিকে যদি বিরল ঘটনা বলে আশা করেন তবে ভুল করছেন। এ ধরনের অনেক ঘটনা হরহামেশাই সামনে চলে আসবে। মূলত এসব পরিস্থিতি সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার মানসিকতা থাকতে হয়। এ জন্য সমাজের চারদিকে চোখ দিন। অন্যরা কিভাবে সামলে নিচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করুন।

চটপটে হোন:
এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে মূল বিষয় ধরার চেষ্টা করুন। এবার ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে কৌতুকের সঙ্গে কিছু উপস্থাপন করুন। এটা বেশ কার্যকর কৌশল। আর এ পদ্ধতিতে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করবেন না:
পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। পালিয়ে যাওয়া সমাধান নয়। এতে অবস্থা আরো ঘোলাটে হবে। তাই ঘটনায় মিশে যান এবং স্মার্ট থাকার চেষ্টা করুন।

সহনশীল হোন:
বাজে পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার মৌলিক নীতি হলো সহনশীল হওয়া। সীমা অতিক্রম না করলে অনেক কিছুই সয়ে নেওয়া যেতে পারে। এখানে পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো ফল দেয়।

মাথায় রেখে দেবেন না:
ধরুন, আড্ডায় কেউ একজন আপনার মধ্যের দৃষ্টিকটু কোনো বিষয়কে তুলে ধরলেন। খুবই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। কিন্তু এটাকে হেসেই উড়িয়ে দিতে পারেন। অথবা এ নিয়ে মজার কোনো মন্তব্য চটজলদি ছুড়ে দিন। আড্ডাজুড়ে বিষয়টি মাথায় নিয়ে বসে থাকলে আরো বাজে পরিস্থিতিতে পড়বেন।

পরামর্শ নিন:
যখন সামলে নেওয়া আপনার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না, তখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। ‘কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি’বিষয়ক বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হন। তারা আপনার সমস্যার মূলটা ধরতে পারবেন। আশা করা যায়, তাঁদের পরামর্শে ভালো ফল মিলবে।